কুমিল্লা'য় ডিসিকে পরিবেশ উপদেষ্টার ফোন কল, ভেকু জব্দ করলেন ইউএনও

কুমিল্লা’য় ডিসিকে পরিবেশ উপদেষ্টার ফোন কল, ভেকু জব্দ করলেন ইউএনও

প্রকাশিত: ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৫

কুমিল্লা’য় ডিসিকে পরিবেশ উপদেষ্টার ফোন কল, ভেকু জব্দ করলেন ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা।।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের জুগিরকান্দি গ্রামে বিগত ৩ মাস ধরে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খাস খতিয়ান-১ এর বোয়ালজুড়ি সরকারি খাল থেকে মাটি কেটে নিহা ইট ভাটায় নিচ্ছে এমন অভিযোগ লিখিত ভাবে ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল কাদের, মাসুদুর রহমান থেকে পাওয়া যায়। সরেজমিনে গিয়ে শুক্রবার(২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জুগিরকান্দি নিহা ইট ভাটার সামনে গিয়ে দেখা যায়- ভেকু মেশিন দিয়ে নিহা ইট ভাটার মালিক নাদিম ভূইয়ার ছত্রছায়ায় শুয়াগাজী গ্রামের মো: বাকী অনুমোদনবিহীন বোয়ালজুড়ি সরকারি খাল ও ভুক্তভোগী কৃষকের ক্ষেত থেকে জোড় পূর্বক মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রয় করে এমন ভিডিও চিত্র দেখা যায়। এদিকে ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল কাদের বলেন- গত ৩ মাস ধরে নিহা ইট ভাটার মালিক নাদিম ও শুয়াগাজী গ্রামের মো: বাকি লাঠিয়াল বাহিনী ও দেশীয় অস্ত্রের প্রর্দশন দেখিয়ে জোড় পূর্বক ভাবে প্রায় ৫ কোটি টাকার মাটি কেটে বিক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়- স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন চৌদ্দগ্রামের ইউএনও ও জেলা প্রশাসক কুমিল্লা কে বহুবার স্ব-শরীরে অভিযোগ দায়ের করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান ও এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক। তবে লিখিত অভিযোগটি ৩ মাস সময় কালক্ষেপন করেও ব্যবস্থা নেননি, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার ও চৌদ্দগ্রাম ইউএনও মো: জামাল হোসেন কোন ব্যবস্থা নেননি। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার কে সরকারি বোয়ালজুড়ি খাল থেকে মাটি কাটার ভেকু মেশিনটি জব্দ করতে নির্দেশনা দেন এবং স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ইউএনও জামাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে বোয়ালজুড়ি খাল ও কৃৃষি জমির উপর ভেকু মেশিনটি ফেলে রেখে মাটিখোর মো: বাকি দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায় এবং ভেকুটি প্রশাসন জব্দ করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় নিয়ে যান। স্থানীয় কৃষকদের মুখে গুন্জন শুনা গেলো যে, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা ইউএনওকে বহুবার উক্ত অভিযোগের বিষয়ে ম্যাসেজ কল করা হয়েছেিল কিন্তু ইউএনও চৌদ্দগ্রাম জামাল হোসেন ভুক্তভোগীদের কল পেলেও চরমে শাসাতেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান। স্থানীয় একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান- বহুবার ইউএনও চৌদ্দগ্রাম জামাল হোসেনকে কল করে ভেকু মেশিনের বিষয়ে অবগত করলেও তিনি মাটি খোরদের যোগসাজশে কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা নেননি। এদিকে একমাস পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার পক্ষ থেকে কৃষি জমি ও সরকারি খাল থেকে মাটি কাটার অভিযোগে নিহা ইট ভাটার মালিক নাদিমসহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে ২৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় উপজেলা চৌদ্দগ্রামের ইউএনও জামাল হোসেন মাটি খোরদের সাথেগোপনে আতাত করে কোন প্রকার জরিমানা না করে ভেকুটি জব্দ করে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ এসেছে। কেননা,পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা কর্তৃক নিহা ইট ভাটায় কৃষকের জমি থেকে মাটি যাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। এদিকে জুগিরকান্দি, সাতবাড়িয়া,রামচন্দ্রপুর ও দরবেশ মার্কেট গ্রামের মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী কৃষকেরা পরিবেশ উপদেষ্টা কে তাহার সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।