কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিয়ের ৩ মাস পর গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু!

কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিয়ের ৩ মাস পর গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু!

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৫

কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিয়ের ৩ মাস পর গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু!
মোঃ বাছির উদ্দিন, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের লাড়ুচৌ গ্রামে মোসাঃ ফাইমা আক্তার লিমা (১৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল (২২ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকাল সারে ১০টায় তার মৃত্যু হয়। ফাইমা আক্তার লিমা একই গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে। গত ৩ মাস পূর্বে ফাইমা আক্তার লিমার সাথে একই এলাকার কালন মিয়ার ছেলে রাব্বি (২০) বিয়ে হয়। রাব্বি এলাকায় সেলুনে কাজ করে। এব্যাপারে মেয়ের বাবা রিপন মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকে রাব্বি আমার মেয়েকে সন্দেহ করত। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগে থাকতো। আমার বাড়ি ও রাব্বির বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় আমরা প্রায়ই এই ঘটনাগুলো শুনতাম। ঘটনার দিন সকালে আমি জমিতে কাজ করা অবস্থায় কালনের বাড়িতে কান্নাকাটির আওয়াজ শুনি। কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে আমি তাদের বাড়ি গেলে তারা আমাকে হামলা ও মারধরের চেষ্টা করে। তখন আমার বাড়ি থেকে ৫/৬ জন লোক তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই রাব্বি ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল করে আমার মেয়েকে কবরস্থানের পাশে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উপস্থিতি দেখে তারা ফাইমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। তখন তারা আমাদেরকে বলে ফাইমা আক্তার লিমা ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরবর্তীতে আমরা ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে থানার এসআই অমর্ত্য মজুমদার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে মেয়ের চাচা শাহ আলম জানান, আমার অল্প বয়সী ভাতিজিকে তার জোরপূর্বক বিয়ে করে নিয়ে এখন গলাটিপে হত্যা করেছে। মেয়ের মা শাহেনা খাতুন বলেন, আমার মেয়ে শিদলাই মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে তারা বিয়ে করে নিয়ে যায়। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ ছিল তাদের মধ্যে। ঘটনার দিন পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার এসআই অমর্ত্য মজুমদার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।