নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ
মহিউদ্দিন আকাশ,স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক ৫ বারের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ এর আগমনে জনসমুদ্রে রুপ নিয়েছে মুরাদনগরের আন্দিকোট ইউনিয়ন বিএনপির জনসভা।
প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখতে সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই মুরাদনগরের আন্দিকোট হায়দারাবাদ শামসুল হক স্কুল মাঠে জনতার ঢল নামে। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দেশের বাহিরে ছিলেন মুরাদনগরের জনপ্রিয় নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। তবে দেশের বাহিরে থেকেও জনসম্পৃক্ততা ছিল তার। বেলা বাড়ার সাথে সাথে একের পর এক মিছিলে জনসভায় অংশ গ্রহন করেন বিএনপি নেতা কর্মীরা। নারী পুরুষের পাশাপাশি তরুনদের অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মত। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বী অসংখ্য নারী পুরুষ আলেম ওলামাসহ সাধারণ জনগনের ছিল উপচে পড়া ভীর। ১৯ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৩ টায় মুরাদনগরের আন্দিকোট হায়দারাবাদ শামসুল হক স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এ জনসমুদ্রে প্রধান অতিথির আসনগ্রহন করেন সাবেক ৫ বারের এমপি ও মন্ত্রী কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। হাত নেড়ে তিনি সালাম বিনিময়কালে - কায়কোবাদ কায়কোবাদ, দাদাভাই,দাদা ভাই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সমাবেশস্থল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ বলেন, যারা নতুন পার্টি (এনসিপি) করেছে, তারা যদি সুন্দর নির্বাচন চায়, আমি নিজেই স্টেজে তাদের জায়গা করে দিব। কিন্তু আজ তারা আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে হাত মিলিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের অনুসারীরা আমাকে মেরে ব্রিকফিল্ডের আগুনে পোড়াতে চেয়েছিল। আজ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের লোকজনের সাথে তারা ( উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অনুসারীদের উদ্দেশ্য করে) জোট বেঁধেছে। মনে রাখবেন, যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না। তিনি বলেন, ছাত্ররা আমাদের মাথার তাজ। কিন্তু কিছু ছাত্র নামধারী আজ আমাদের সমাজকে কলুষিত করতে চায়। ডক্টর ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি আমাদের গর্ব। ছাত্রদের পড়াশোনা যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল করবেন। মুরাদনগরবাসী, আপনারা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন, দেশে যেন একটি সুন্দর নির্বাচন হয়। তিনি নিজ উপজেলার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে আমি আপনাদের কামলা হিসেবে আছি। আমি নেতা নই, কামলা। আপনাদের ঋণ পরিশোধ করে শেষ করতে পারব না। আপনারা আমাকে পাঁচ পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আমরা সবাই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের স্বাধীনতায় নিহতদের জন্য সুরা ফাতিহা পড়ি। তাদের কারণে আজ এই খোলা মাঠে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। কুমিল্লার এসপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মুরাদনগরে সবচেয়ে বেশি মামলা খেয়েছে মাসুদ, যে ছেলে জেলে থাকা অবস্থায় তার মা মারা গেছে, সেই মাসুদকে হয়রানি করছেন। কুমিল্লার এসপি আওয়ামী লীগকে সাহায্য করার জন্য এসব করছে।
তিনি গাজীপুরে থাকা অবস্থায় কি করেছেন, তা আমাদের জানা আছে। তিনি মুরাদনগরের ওসিকে বদলি করেছেন। তাকে চলে যেতে হবে। জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ তৌফিক আহমেদ মীর,জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব হাজী মামুন। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন অন্জনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো.শাহাজান। আলহাজ্ব শামসুল হকের সহধর্মিণী বেগম জাহানারা হক। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া, ফারুক সরকার মজিব, নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক। উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সোহেল আহমেদ বাবু। উত্তর জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট তৌহিদুর রহমান। উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক কাজী তাহমিনা আক্তার। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহেল সামাদ,সদস্য সচিব সৈয়দ হাসান আহমেদ। উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক খায়রুল আহসানসহ স্থানীয় ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম ফয়সাল
মোবাইলঃ +৮৮০১৭৭৫৭২৬৬৭৯/+৮৮০১৭৬৫৭৭৮৪৪৬
ই-মেইলঃ cumillarkhobor33@gmail.com