খালের পানিতে ভাসছে জজ মিয়ার খামারের শত শত মরা মোরগ; পঁচাদূর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা! খালের পানিতে ভাসছে জজ মিয়ার খামারের শত শত মরা মোরগ; পঁচাদূর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা! কুমিল্লার খবর কুমিল্লার খবর Cumillarkhobor প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২৫ খালের পানিতে ভাসছে জজ মিয়ার খামারের শত শত মরা মোরগ; পঁচাদূর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা! এবিএম আতিকুর রহমান বাশার,দেবীদ্বার(কুমিল্লা)প্রতিনিধি।। খালের পানিতে ভাসছে শত শত মরা মোরগ। ফলে পানি দূষিতই নয়, বাতাসে ভাসছে দূর্গন্ধ, পরিবেশের ঘটছে বিপর্যয়, মোরগপঁচা দূর্গন্ধে গ্রামবাসীর ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। পরিবেশের চরম বিপর্যয় এবং জীবন বিপন্ন নানা রোগবালাইর আশংকা করছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটে দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের জজ মিয়ার পোল্ট্রি খামারে। স্থানীয়রা জানান, জজ মিয়ার পোল্ট্রি খামারে মরক লেগেছে। দেবীদ্বারের ‘গুয়াদারা খালের পৌর এলাকার অংশের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুরে শত শত মরা বয়লার মোরগ খালের পানিতে ভাসছে। মোরগ পঁচা দূর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে পথচারিই নয়, কয়েক গ্রামের মানুষ শ্বাসরুদ্রকর দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পঁচা দূর্গন্ধে কৃষক জমিতে কাজ করতে পারছেনা। স্থানীয়রা জানান, দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের জজ মিয়ার পোল্ট্রি ফার্মের প্রায় ৫ হাজার মোরগ জীবন বিধ্বংসি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ওই খামারের প্রায় এক হাজার মৃত: মুরগ পার্শ^বর্তী গুয়াদারা খালের পানিতে ফেলে দেয়ায় পঁচা দূর্গন্ধে এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে পড়েছে। বাকী প্রায় ৪ হাজার মোরগ স্থানীয়দের মাঝে এবং দেবীদ্বার সদরসহ বিভিন্ন এলাকার মোরগ ব্যবসায়িদের কাছে পানির দরে বিক্রি করে দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পোল্ট্রি খামারী বলেন, দেবীদ্বারে ছোট-বড় প্রায় ৬ শতাধিক মোরগের খামার রয়েছে। আকিজ ফিডের কর্মরত প্রাণি চিকিৎসক ডাঃ ওমর ফারুক বলেন, এসময় রানীখেত, ফাউল কলেরা, ইকোলাই, সালমুন লুসিস রোগে আক্রান্ত হয়। তবে ভ্যাকসিন না করা থাকলে বিশেষ করে রানীখেত ভাইরাস আক্রান্ত হলে ৯৯% মোরগ মারা যাবে। বিষয়টি শুনার পর দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুন্নাহার গুয়াদারা খালের দুর্গন্ধযুক্ত এলাকা ও সংশ্লিষ্ট মুরগির খামার পরিদর্শন করেন এবং তিনি জানান, দেবীদ্বারের অধিকাংশ মোরগের খামার পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই এবং উপজেলা পশুসম্পদ বিভাগের সাথে কোন ধরনের পরামর্শ ছাড়াই চলছে। আমি জজ মিয়ার বাড়িতে যাই, জজ মিয়াকে না পেলেও তার স্ত্রী হাসনা আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রায় এক হাজার মরা মোরগ মাটির নিচে পুতে রেখেছি। খামার মালিক জজ মিয়া জানান, শুধু আমার খামারই নয়, পাশর্^বর্তী মাশিকাড়া, পোনরা, বারেরা গ্রামের অনেক খামারেই মরক লেগেছে। সবাই মরা মোরগুলো খালে ফেলেছে। শুধু দোষ আমার। এ ব্যাপারে উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আজিজুল হক বলেন, উপজেলায় নিবন্ধিত পোল্ট্রি খামার রয়েছে ৫টি। এগুলোর মধ্যে রাজামেহার ইউনিয়নে ২ টি, বড়শালঘর ইউনিয়নে ১ টি ইউছুফপুর ইউনিয়নে ১ টি এবং এলাহাবাদ ইউনিয়নে ১ টি। আমার জানামতে খামারিদের কোন রোগ বালাইয়ের কবলে পড়েননি। এ সংক্রান্তে কেউ অভিযোগও করেননি। তবে ব্যবস্থাপনায় দূর্বলতার কারনে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছেন। পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. রয়হানুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। খালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মরা মোরগগুলো পরিবেশ দূষিত করছে। খালের পানিও দূষিত হয়ে পড়েছে। মোরগুলো খাল থেকে অবমুক্ত করতে জনবল প্রয়োজন, দ্রæত ব্যবস্থা নিচ্ছি। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: খালের পানিতে ভাসছে জজ মিয়ার খামারের শত শত মরা মোরগ; পঁচাদূর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা!