মোবাইল চোরাকারবারি ও ছাত্রলীগ নেতা সুমনের করা মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক শাহীন এর জামিন

বিশেষ প্রতিবেদক।।
গত ২০২২ সালে কুমিল্লা সদর ও সদর দক্ষিণ সিমান্ত এলাকার মাদক ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) স্ট্যাটার্স দেওয়ার কারণে ফ্যাসিস্ট শাসনামলে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের সিমান্ত এলাকার গলিয়ারা (উত্তর) ইউনিয়ন এর দক্ষিণ সূর্য নগর গ্রামের মিছিল মাস্টার এর ছেলে মোবাইল চোরাকারবারি ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সুমনের করা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও দৈনিক বাংলা খবর অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক এবং জাতীয় সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহিন আলম শাহিন এর জামিন মঞ্জুর। সাংবাদিক শাহীন আলমের সাথে কথা বললে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ভারতীয় সিমান্ত মাদক ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ফেসবুক স্ট্যাটার্স দেওয়ার পর মোবাইল চোরাকারবারি সুমন মাদক ও চোরাকারবারিদের পক্ষ নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটার্সে কমেন্ট করে এবং পরোক্ষণে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারিকুল ইসলাম সুমন ও মাদক মোবাইল চোরাকারবারিদের সাথে সখ্যতা আছে এবং সুমন নিজেও ভারতীয় মোবাইল কারবারের সাথে জড়িত যা এলাকার মানুষের মুখে মুখে। তার সুত্র ধরে আমি তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটার্স দেই তখন সুমন তৎকালিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে মোবাইল ফোনে হুমকি দমকি সহ আমাকে নিয়ে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করে একাধিকবার পোস্ট দিয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে প্রাণোনাশের হুমকি দিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি। এই তারিকুল ইসলাম বর্ডার এলাকার মাদক ও চোরাকারবারিদের পরামর্শে এবং ছাত্রলীগের প্রভাব খাঁটিয়ে আমার বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি সহ মানহানি মামলা করেন। এই মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলাটি তৎকালিন কুমিল্লার আদালত খারিজ করে দেন। পরক্ষণে সুমন স্থানীয় কিছু চোরাকারবারির প্রলোভনে আবারও আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে গোপনে পুলিশ রিপোর্ট দিয়ে মামলাটির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সাংবাদিক শাহিন আলম শাহিন জানান,এই সুমন একটা মোবাইল দোকানে চাকুরি করে কত টাকা বেতন পায়? সে কি কোন ইনকাম দিয়ে বিলাসিতা জীবন যাপন সহ জমি কিনে নতুন বাড়ি নির্মাণ করেন।
সাংবাদিক শাহীন আরো জানান, মামলাটিতে উল্লেখিত যে তারিখে তার মোবাইল দোকানে গিয়ে চাঁদা চাওয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে সেই তারিখ ছিলো শুক্রবার সেদিন কুমিল্লা সাত্তার খান কমপ্লেক্সটি বন্ধ ছিলো এবং পুলিশ রিপোর্টের তারিখের সাথেও মামলার তারিখের মধ্যে মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। সাত্তার খান কমপ্লেক্সে যে দোকানটি সুমন নিজের দোকান বলে দাবি করে দোকানটির নামে ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে মিথ্যা মামলা আমার বিরুদ্ধে সাজিয়েছে সেই উল্লেখিত দোকানটির মুল মালিক মিথ্যা মামলার ২ নং সাক্ষী মো. জহিরুল ইসলাম এর। আজ ৯ এপ্রিল (বুধবার) সব কিছুর পর্যালোচনা করে এডভোকেট কুমকুম আক্তার এর নের্তৃত্বে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মিথ্যা ও হয়রানী মুলক মামলাটি জামিন মঞ্জুর করেন। সাংবাদিক শাহিন আলম শাহিন জানান,এই সুমন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর এর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত জুলাই আগস্ট আন্দোলনে এই সুমন ছাত্রদের বিপক্ষে কুমিল্লার আলেখারচর,কুমিল্লা কোর্টবাড়ি বিশ্বরোড ও পুলিশ লাইন এবং কান্দিরপাড়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর হেলমেট পড়ে দমন পীড়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এই নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ও মোবাইল চোরাকারবারি সুমন এরেই মধ্যে আমার সাথে বহুবার মিথ্যা মামলাটি নিয়ে অর্থের বিনিময়ে সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে মোবাইলে বহু হুমকি দমকি দেয় যা গত কয়েকমাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়।সাংবাদিক শাহিন আলম শাহিন জানান মোবাইল চোরাকারবারি সুমন স্থানীয় কিছু বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর সেল্টারে বিরতিহীন ভাবে তার মোবাইল চোরাকারবারি ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে যা তার স্থানীয় এলাকার ছোট বড় সবাই অবগত আছেন। সাংবাদিক শাহিন বলেন, আমার মতো কেউ যেন ভবিষ্যতে এমন হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার শিকার না হয় মোবাইল চোরাকারবারি তারিকুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনা সহ আমার বিরুদ্ধ মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।