অবৈধ ড্রেজারের পাইপ ভাঙ্গলেন এসিলেন্ড, মামলা কৃষক"র বিরুদ্ধে,

অবৈধ ড্রেজারের পাইপ ভাঙ্গলেন এসিলেন্ড, মামলা কৃষক”র বিরুদ্ধে,

প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫

চার্জশিটে অনিয়ম ক্ষমতাধর সার্কেল এসপি ও তদন্ত কর্মকর্তা”র বিরুদ্ধে

বিশেষ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা দেবিদ্বার থানায় অবৈধ ড্রেজারের পাইপ ভাঙ্গলেন, অবৈধ ড্রেজার মালিক বিল্লাল আপন ভাইকে বাদী বানিয়ে আদালতে মামলা করলেন প্রতিবেশী কৃষক দেলোয়ার ও তার দুই সন্তান”সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন, উক্ত মামলার চার্জশিটে অনিয়ম করেন ক্ষমতাধর সার্কেল এসপি মোহাম্মদ শাহীন ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অঞ্জন কুমার সাহা লাভবান হয়ে চার্জশিট দিলেন কৃষকের বিরুদ্ধে। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় যে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলায় বাংলাদেশ সরকারের নিষিদ্ধ অবৈধ ড্রেজার সব চাইতে বেশি চলে। এমন ঘটনা দেবিদ্বার উপজেলায় নতুন কিছু নয়! এমন ঘটনা ইতিপূর্বে আরো একাধিক ঘটেছেন ঐ উপজেলায়। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় যে কুমিল্লা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেবিদ্বার উপজেলায় সরকারের নিষিদ্ধ অবৈধ ড্রেজার বেশি চলে। ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার ফলে ফসলি জমি বেশি ক্ষতি হয় ও মাটির নিচের চার পাশের মাটি টেনে নিয়ে যায় এতে উপরে জমিন থাকে ঠিকি কিন্তু জমিনের ৫/৭ ফিট নিচের মাটি থাকে না এতে যে কোন সময়ে ভূমিকম্প হলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় ঐ এলাকা।
বিগত ২০/১২/ ২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় ০৭.৩০ মিনিটের সময় ১ নং ওয়ার্ড”র ফতেহাবাদ গ্রামের মোঃ বিল্লাল হোসেন এর অবৈধ ড্রেজার সরকারি খালে লাগিয়ে খাল খনন করছেন ও পাশের ফসলি জমি ক্ষতি করছেন বলে স্থানীয় এক সংবাদ কর্মী সংবাদ দিলে দেবিদ্বার উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম তার টিম সহ গ্রাম পুলিশ নিতাইকে সাথে নিয়ে বিল্লাল হোসেন এর অবৈধ ড্রেজারের অনেক গুলি পাইপ ধ্বংস করেন যার বাজার মূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা। কিন্তু উক্ত বিষয় চাঁদাবাজির ও হামলা করে পাইপ ভাঙার অভিযোগ এনে প্রতিবেসী দেলোয়ার ও তার দুই সন্তান”সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে দুই লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন কুমিল্লা আদালতে। অবৈধ ড্রেজার মালিক মোঃ বিল্লাল হোসেন তার আপন বড় ভাইকে মোঃ হেলাল”কে বাদী করে উক্ত মামলাটি দায়ের করা হয় ১৩/০১/২০২৫ইং তারিখে।
অনুসন্ধানে নেমে জানা যায় যে মো. বিল্লাল হোসেন একজন ড্রেজার ব্যবসায়ী যদিও সরকারি নিষিদ্ধ ড্রেজার তার পরেও আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে বিল্লাল হোসেন তার ব্যবসা করেই যাচ্ছেন কোন কিছুরই তোয়াক্কার না করেই। বরন উপজেলা প্রশাসনকে কেহ তার অবৈধ ড্রেজার চলার সংবাদ দিলে তাদেরলে বিভিন্ন ভাবেই ক্ষতি করে বেড়ান। ড্রেজারের পাই ধ্বংসের বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান যে বিগত ২০/১২/ ২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় ০৭.৩০ মিনিটের সময় বিল্লালের অবৈধ ড্রেজারের সংবাদটি জানান এক সংবাদ কর্মী তখন ভূমি কর্মকর্তা তার টিমসহ গ্রাম পুলিশ নিতাইকে সঙ্গে নিয়ে বিল্লাল হোসেন এর ড্রেজারের পাইপ ধ্বংস করেন তবে কয়টি পাইপ তা জানাননি আনুমানিন লক্ষাধিক টাকার পাইপ হবে ধ্বংস করেছেন বলে তিনি জানান এছাড়াও আদালত তাকে ডাকলে সে উক্ত বিষয়ে আদালতে জবাব দেবেন বলেও আমাদের সংবাদ কর্মীদেরকে জানান। গ্রাম পুলিশ নিতাই তিনিও একি কথা জানান। ড্রেজার মালিক বিল্লাহ হোসেন তার প্রতিবেশী দেলোয়ার এসিল্যান্ডকে সংবাদ দিয়ে পাইপ গুলি ভাঙ্গিয়েছেন সন্দেহ করে তাকে সহ তার সন্তানদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রতিবেশীরা এই কথা জানান। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে ড্রেজার ব্যবসায়ী বিল্লালের কাছে প্রথমে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন পরে চাঁদা না দিলে হামলা করে ড্রেজারের পাইপ গুলি ভেঙ্গে ফেলেন। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান দেবিদ্বার থানার এস আই রঞ্জন কুমার সাহার, ভিপি নং- ৮৬১৩১৫৫৫২৬)। তখন থেকে আমাদের একটি টিম ঐ এলাকায় কাজ করতে থাকেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে উক্ত আসামীরা আসামি দেলোয়ার শুধু মাত্র কৃষক ড্রেজার ব্যবসায়ী বিল্লাল এর প্রতিবেশী। সেই প্রতিবেশী কৃষক দেলোয়ারের জমির পাশে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন ড্রেজারে মাটি কাটার ফলে কৃষক”র পাশে ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অনেকের কাছে বিচার দিয়ে কোন প্রকার প্রতিফল পাচ্ছিলেন না বলে দেবিদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন কৃষক দেলোয়ার তখন পাল্টা আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন ড্রেজার ব্যবসায়ী বিল্লাল তখন এস আই মোক্তার গিয়ে দু”জনকে মিলিয়ে দেন। এই সব ঘটনা এসিল্যান্ড অবৈধ ড্রেজার ভেঙ্গে দেওয়ার পরে বলে জানান এস আই মোক্তার, কৃষক দেলোয়ার ও প্রতিবেশীরা। এসিল্যান্ড ড্রেজারের পাইপ ধ্বংস করেন ২০/১২/ ২৪ ইং তারিখ তার পরে কৃষক দেলোয়ার দেবিদ্বার থানায় অভিযোগ করেন তার পরবর্তীতে এস আই মোক্তার বিষয়টি মিলমাংসাও করে দেন। আবার ড্রেজার ব্যবসায়ী বিল্লাল তার ভাইকে বাদী করে আদালতে মামলা করেন ১৩/০১/২০২৫ইং তারিখে। এখন প্রশ্ন হলো আদালত অবৈধ ড্রেজারের মামলা কি ভাবে নেন? যেই ড্রেজার দিয়ে সরকারি খাল খনন করা হচ্ছে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী বিল্লাল সরকারের ক্ষমতাকে অপ-ব্যবহার করে আদালতকে ভুলভাল বুঝিয়ে নিরীহ অসহায় লোক”দেরকে হয়রানি করছেন কত বড় জাহেল হলে এই সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারেন!
উক্ত মামলার বিষয় দেবিদ্বার সার্কেল এসপি মোহাম্মদ শাহীন”কে জানালে তিনি জানান সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবেন বলে জানালেও সুষ্ঠু তদন্ত করেছেন নাকি ঘুষ বাণিজ্য করে মামলার চার্জশিট প্রধান করেন কৃষকদের বিরুদ্ধে তা প্রশ্ন থেকেই গেল। আহা অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী কি ক্ষমতা আহারে পুলিশের ক্ষমতা। বদলায়নি এখন পুলিশের চরিত্র। উক্ত মামলার চার্জশিট এর বিষয় জানতে দেবিদ্বার সার্কেল এসপি মোহাম্মদ শাহীন”কে ফোন দিলে নিতি সহজ একটি উত্তর দেন আমি তো তাকে বলে দিয়েছিলাম কিন্তু সে তদন্ত কর্মকতা সে যা পেয়েছেন তদন্তে তাই দিয়েছেন হয়ত। তখন এসপিকে প্রশ্ন করা হলো উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা এসিল্যান্ড কার অভিযোগে উক্ত পাইপ গুলি ধ্বংস করেছেন তার বক্তব্য কি নিয়েছিলেন তখনি মহদাশয় নীরব হয়ে তদন্ত কর্মতার উপরে দায় চাপান।
তদন্ত কর্মকতা এসআই অঞ্জন কুমার সাহা”কে ফোন করলে তিনি বলেন আমি সব তদন্ত করেই প্রতিবেদন দিয়েছি কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ভূমির কোন বক্তব্য নিয়েছেন কিনা কার অভিযোগ”র ভিক্তিতে অবৈধ ড্রেজারের পাইপ গুলি ধ্বংস করেছিলেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা এসিল্যান্ড? যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন খারাপ রেকর্ড আছে কি? তারা কি কোনো রাজনৈতিক দল করেন? শুধু মাত্র একজন কৃষক কি চাঁদাবাজ হতে পারে উক্ত প্রশ্নের জবাবে মহাশয় ২/৪ টি বাজে ভাষায় জবাব দিয়ে লাইনটি কেটে দেন আর ফোন উঠায়নি। তবে তদন্ত কর্মকতা মহাশয় এসআই অঞ্জন কুমার সাহা দেবিদ্বার থানায় আসার পর থেকে একপ্রকার বেপরোয়া চাদাবাজীতে লিপ্ত হয়েছেন। জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন”কে ব্যবহার করে মামলায় বিভিন্ন লোকদেরকে ফাঁসিয়ে দেবেন বলেও পকেট ভারী করছেন বলেও জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপির কর্মী জানান যে আমাকে জুলাই আগস্টের মামলার আসামি করে দেবেন বলে আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন দর-কশাকশি করে। কিন্তু আমি নিউনিয়নের একজন কর্মী আমাকে এই মামলা দিলে আমি ছাত্র আন্দোলনে না গেলেও তাদের পক্ষেই ছিলাম কিন্তু আমাকে এই মামলা দিলে আমার সব শেষ হয়ে যাবে তাই আমি আমার ইজ্জত বাঁচাতে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছি ক্ষমতাধর এই কর্মকর্তা এসআই অঞ্জন কুমার সাহা”কে।